ধারাবাহিক গদ্য স র্ব জি ৎ স র কা র রাংতায় আগুন ধরাও ১। একটি পেইনটিং এর জন্ম ও মৃত্যু রাংতায় আগুন ধরিয়ে দাও। ধারালো চাঁদের মত , মাটির গোপন আঁধারে। একটা গোটা জীবন কাটাও এভাবেই একটা সম্পূর্ণ জীবন রাংতায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে... যাতে তোমার আত্মাকে কেউ পোড়াতে না পারে । গত কয়েকদিন ধরে এই ছবিটার কথা ভেবেছি। সাদা ক্যানভাসের ওপর যখন মাস্কিং টেপ লাগাচ্ছিলাম, প্রথমে আড়াআড়ি একটু চওড়া করে ক্যানভাসের মাঝখান অবধি, তারপর কয়েকটা সরু টেপ লম্বালম্বি সেটার নিচের থেকে ক্যানভাসের শেষ মাথায়, তখনি কয়েকটা ভাঙা টিনের চালের ছাদ আবছা ভাবে দানা বাঁধছিল মনে। একটি দৃশ্য তার বাস্তবতা পেরিয়ে দিন ভাঙে, রাত পেরোয়, তার পর কখন কী ভাবে স্মৃতির দরজায় কড়া নাড়ে তার স্পষ্ট উত্তর কিছু নেই। মাইমেসিস যাই প্রমাণ করতে চাক না কেন ঘটনা হচ্ছে দৃশ্য ও তার প্রতিরূপ এর মাঝখানে অনেক ফাটল, অনেক ক্ষত, অনেক ছেদ, সময়ের নিয়মেই দেখা দিতে থাকে। অন্ধকার, বিপন্ন বাতাস, দেবদারু পাতাদের নিস্তব্ধতা লেগে থাকে তাদের ফাঁকে ফোকরে। চালসায় দেখেছিলাম সে দৃশ্য। টিনের চালের বাড়...
গদ্য শ মী ক ঘো ষ যে শিল্প ঐকিক নয়, তারে করো দান শূদ্রাণীরে ‘বাইরেই থাকত, মাঝে মাঝে যেন ঘুরতে আসত বাড়িতে।’ রিকশা যাচ্ছে। এদিকে ওদেক ব্যস্ত মানুষ। বাস, অটো, সাইকেল। রিকশা যাচ্ছে। আমার সামনে একটা কালো মাথা। রিকশাওয়ালার। কালো মাথার ওপরে নীল আকাশ। কে যেন সাদা মেঘ গ্রেট করে করে ছড়িয়ে দিয়েছে গোটা আকাশটায়। ছেঁড়া ছেঁড়া। অগরুর গন্ধ নেই। ‘তবু মেঘ কেন করিডর জুড়ে?’ আমি যাচ্ছি তীর্থ করতে। তীর্থই তো। ৫ নম্বর লেখা পাঁচিলের পাশে একটা বিরাট খোলা গেট। তার মধ্যে সাজানো ছিমছাম কয়েকটা বাড়ি। ঢুকে যাচ্ছি হনহনিয়ে। জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রের মতো এবারও লেট। গেটের পাশে প্লাস্টিকের মেরুন চেয়ারে বসা নীল জামা লোকটা প্রায় থামিয়ে জিজ্ঞাসা করল। ‘কোথায় যাবেন?’ বললাম। মুহূর্তে চোখে কেমন একটা সমীহ। বাঁ দিকে দুনম্বর বাড়ি। ‘পাট করা তোশক, শুধু তেল-কাপড় কলঘরে ছড়ানো- ধোয়া হবে। আবার জীবন এসে শুয়ে পড়বে সেই একই খাটে মৃত্যুর অপেক্ষা করবে, কিংবা কিছু আমলকি কুড়িয়ে যাবে বাড়ি।’ বাড়ির সদর দরজাটা খোলা। বোধহয় আমি আসব বলেই। থমকে দাঁড়াই। আমার ডানদিকে দরজার পাশে দুটো নাম। যাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাব তিনি ওপর...